হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স প্রতিবছর পাসপোর্টের মানের ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রমের তালিকা প্রকাশ করে। আমরা এই তালিকায় একটি দেশের পাসপোর্টের জন্য কতগুলো দেশের ভিসা-শিথিলতা রয়েছে দেখতে পারি। বাংলাদেশিরা অর্থাৎ বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা কোন দেশগুলোতে ভিসা ছাড়া, অন-আরাইভাল ভিসা ও ই-ভিসাতে যেতে পারবে এই তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৫-এ হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স অনুসারে পৃথিবীর ২১টি দেশ বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকা নাগরিকদের সম্পূর্ণ ভিসা-অব্যহতি সুবিধা দিয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহামাস, বার্বাডোস, ভুটান, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ডমিনিকা, ফিজি, গ্রেনাডা, হাইতি, জ্যামাইকা, কিরিবাতি, মাদাগাস্কার, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, নিউ, রুয়ান্ডা, সেন্ট কিট্স এবং নেভিস, সেন্ট ভিন্সেন্ট এবং গ্রেনাডাইন্স, দ্যা গাম্বিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, এবং ভানুয়াতু।
২০২৫-এর হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স মতে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ১৬টি দেশে বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর, কিংবা স্থলবন্দর; যেকোনো চেকপয়েন্টে অন-অ্যারাইভাল ভিসার অনুমতি দেওয়া হবে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বলিভিয়া, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, নেপাল, সামোয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, তিমুর-লেস্তে, এবং টুভালু।
২০২৫-এ তিনটি দেশে ভ্রমণকালে বাংলাদেশিদের ইটিএ (ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন), যা সরাসরি পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, প্রয়োজন হবে। এই অনুমতি ভ্রমণের আগে অনলাইন থেকেই করে নেওয়া যায়। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া, এবং সেশেলস।
হেনলি ইন্ডেক্স অনুযায়ী সম্পূর্ণ ভিসা-অব্যহতি, অন-অ্যারাইভাল ও ইটিএ- এই তিন ভিসা-নীতিকে এক সঙ্গে ভিসামুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই নিরীখে চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য ভিসামুক্ত গন্তব্যের সংখ্যা সর্বমোট ৪০।
২০২৫ সালে বাংলাদেশিদের জন্য ৩৪টি দেশে ই-ভিসার সুবিধা থাকবে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আলবেনিয়া, অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেনিন, বতসোয়ানা, ক্যামেরুন, কলম্বিয়া, নিরক্ষীয় গিনি, গিনি, ইথিওপিয়া, গ্যাবন, জর্জিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, মলদোভা, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে, সুরিনাম, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, টোগো, তুর্কি, উগান্ডা, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া, এবং জিম্বাবুয়ে।
ইটিএ এবং ইলেক্ট্রনিক বা ই-ভিসা উভয়ের সঙ্গেই অনলাইন পদ্ধতির সম্পৃক্ততা থাকলেও দুয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। ই-ভিসা মূলত পড়াশোনা, চাকরি বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দীর্ঘ দিনের জন্য বিদেশ গমনের নিমিত্তে করা হয়ে থাকে। অপরদিকে, ইটিএ-এর মূল উদ্দেশ্য থাকে পর্যটন বা ট্রাঞ্জিট; তথা স্বল্প সময়ের জন্য গন্তব্যের দেশটিতে থাকা।
সব মিলিয়ে ২০২৫-এ মোট ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা। উপরন্তু, বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকার সুবাদে এই বছরে মোট ৩৪টি দেশ থেকে ই-ভিসার সুবিধা থাকছে।
আরো ভ্রমণ নিউজ পেতে > Travel News | British Bangla Travel