গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে দ্রুত করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।
রাষ্ট্রাধীন উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মীদের মধ্যেও বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা।
চলতি মাসেই অন্তত ৮৮ জন পাইলট ও কেবিন ক্রু করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৮ জনই বৈমানিক।
এখন পর্যন্ত কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রভাব ফ্লাইট চলাচলে না পড়লেও ভবিষ্যতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনায় সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এয়ারলাইনসের একটি সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইট পরিচালনায় সরাসরি সম্পৃক্ত পাইলট ও কেবিন ক্রুরা করোনা আক্রান্ত হলে পুরো এয়ারলাইনসের জন্যই ঝুঁকি তৈরি হবে। কারণ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে প্রতিবার ক্রুদের কোভিড পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে আক্রান্তের রিপোর্ট এলে সেটি শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে।
২০ দিনের মধ্যে প্রায় ৭০ জন কেবিন ক্রু করোনা পজিটিভ হয়েছেন। গতকালও একজন বৈমানিকের করোনা পজিটিভের রিপোর্ট এসেছে।
আশার কথা এই যে, এখন পর্যন্ত বিমানের কোনো ক্রু করোনা আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েননি।
শনাক্তের ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ায় বেশ কয়েকজন নিয়মিত ফ্লাইট কার্যক্রমেও যুক্ত হয়েছেন।
বিমানের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, করোনা সংক্রমণের বর্তমান যে অবস্থা চলছে তাতে সব প্রতিষ্ঠানেই আক্রান্তের খবর আসছে।
তবে বৈমানিক ও কেবিন ক্রুরা যেহেতু সরাসরি ফ্লাইট কার্যক্রমে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিয়ত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
সমস্যা তখনই তৈরি হয়, যখন শিডিউল ফ্লাইটের কোনো ক্রু করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পান।
সে পরিস্থিতিতে তাদের পরিবর্তে অন্য ক্রু দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হচ্ছে। আবার চাইলেই নির্দিষ্ট কিছু বৈমানিক দিয়ে ইচ্ছেমতো ফ্লাইট পরিচালনা করা যায় না।
কারণ একজন বৈমানিক মাসে সর্বোচ্চ কত ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবেন, সেটিও আন্তর্জাতিকভাবে নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে।