শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সর্বমোট ৪৫ লাখ টিকা পৌঁছেছে দেশে। মোট চার ধাপে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্নার ২৫ লাখ ও চীন থেকে সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে।
সর্বশেষ আজ শনিবার (৩ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টায় একটি বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপজার হিসেবে পাওয়া মডার্নার তৈরি প্রায় সাড়ে ১২ লাখ ডোজ টিকা। এর আগে শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১১টা ২২ মিনিটে মডার্নার ১৩ লাখ করোনার টিকা দেশে এসে পৌঁছায়।
সেই সাথে শুক্রবার রাতেই চীনের সিনোফার্ম থেকে কেনা ১১ লাখ ডোজ করোনা টিকাও ঢাকায় এসে পৌঁছায়। রাত ১২টা ৩৪ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সিনোফার্মের টিকা বহনকারী ফ্লাইটটি। শনিবার আরেকটি ফ্লাইটে আরও দশ লাখ ডোজ টিকা আসে। পরে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে সিনোফার্মের ৯ লাখ টিকা দেশে পৌঁছায়।
আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাগ্রহণের জন্য রাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। আর সকালে দ্বিতীয় ধাপে আসা টিকাগ্রহণ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় গণটিকাদান কর্মসূচি পরিকল্পিতভাবে চালাতে না পারার প্রসঙ্গ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জোরে-সোরে শুরুর পরও কাঙ্ক্ষিত টিকা না পাওয়ায় তা ধরে রাখতে পারিনি। আশা করছি টিকার আর কোনো অভাব হবে না। আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাচ্ছি, আগামীতে আরও পাব। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা আসবে, যা ৫ কোটি মানুষকে দেওয়া যাবে।