বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে একটি নতুন পর্যটন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে, যার লক্ষ্য হলো দুই দেশের ভ্রমণ ও আতিথেয়তা খাতে সহযোগিতা জোরদার করা। উভয় দেশই বুঝতে পারছে যে পর্যটন তাদের অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
৬ নভেম্বর কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ফরেন অফিস কনসালটেশন (FOC) বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা পরিবেশবান্ধব (Green) ট্যুরিজমে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ প্রস্তাব করে যে, দুই দেশ মিলে চা ও বৌদ্ধ ঐতিহ্যভিত্তিক যৌথ পর্যটন সার্কিট গড়ে তুলতে পারে। বৈঠকে উভয় পক্ষ পর্যটন সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) চূড়ান্ত করার দিকেও সম্মত হয়, বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র, বিদেশে কর্মসংস্থান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব অরুনি রানারাজা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম।
শ্রীলঙ্কা ২০২৪ সালে ২০ লাখেরও বেশি আন্তর্জাতিক পর্যটক গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে, বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত কক্সবাজার ও সুন্দরবনের মতো বিশ্বখ্যাত আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রতিবছর মাত্র ৬ থেকে ৭ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে।
উভয় দেশই বাণিজ্য ও পর্যটনকে সহায়তা করার জন্য চট্টগ্রাম ও কলম্বোর মধ্যে সম্ভাব্য সমুদ্রবন্দর সংযোগ স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা করেছে।
শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের তাদের দেশে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, লজিস্টিকস, কৃষি ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়। অপরদিকে, বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীদেরকে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (EPZs), বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (SEZs) এবং API ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
ঢাকা আরও জানায়, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের সম্ভাবনা রয়েছে এমন মূল খাতগুলো হলো— ওষুধশিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি (ICT), নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ, চামড়াজাত পণ্য, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল এবং হসপিটালিটি। এছাড়াও উভয় দেশ ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়।
আরো ভ্রমণ নিউজ পেতে > Travel News | British Bangla Travel.

