দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
কিন্তুএমন সময় ও ছিলো যখন সেনাবাহিনীর সদস্য দুপুরেও ভাত খেতে পারতেন না। ভাতের অভাবে তাদের রুটি খেয়ে থাকতে হতো। তবে এখন সেই করুণ অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে ।
২০০৯ সালে সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশকে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খাদ্য থেকে শুরু করে দেশের সকল সেক্টর আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ওই সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা জানতে প্রথম দরবার হলে গিয়ে জানতে পেরেছেন তারা দুপুরে রুটির বদলে ভাত খেতে চান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই সময় দুপুরে শুধু রুটি খেতেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কথাটা শোনার পর খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন ।
তখনই তিনি প্রতিজ্ঞা করেন দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না করে সেনাবাহিনীর জন্য দুপুরে ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা না করা অবধি তিনিও দুপুরে ভাত খাবেন না। সেনাবাহিনী সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে সেদিন দুপুর থেকেই ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
তার সরকার ১৯৯৮ সালে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলে। তখন সেনা সদস্যদের জন্য দুপুরে ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়। পরে ২ বছর পর অবশেষে সেনানিবাসে এসে সেদিন তাদের সঙ্গে বসে দুপুরে ভাত খান মমতাময়ী নেত্রী।