মুহাম্মদ ফারুক খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান স্থাপন করার সম্পর্কে বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ নতুন করে বিভিন্ন সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৯ জুন, রোববার, সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে পার্ক ইয়ং সিক, বাংলাদেশের নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত, সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান স্থাপন করার সম্পর্কে এ কথা বলেন।
ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, জনশক্তি রফতানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচল করলেও এক্ষেত্রে বিদ্যমান এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট সংশোধন করার মাধ্যমে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নিয়মিত সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে এ দেশের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
পার্ক ইয়ং সিক, বাংলাদেশের নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত, সাক্ষাৎকালে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া সংশোধিত এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্টের কপি বাংলাদেশ পক্ষকে পাঠিয়েছে। আমরা আশা করি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দুই পক্ষ বিদ্যমান বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছে চুক্তি সই করতে পারবো। এগ্রিমেন্টটি সই হলে তা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরো ভ্রমণ নিউজ পেতে > Travel News | British Bangla Travel