in , , ,

বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে

বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে

৪ জুন, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড একটি দ্বিপাক্ষিক বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড তার আন্তঃমহাদেশীয় সংযোগ সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতিতে আরও একটি ধাপ এগিয়ে যায়। 

এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি উভয় দেশের জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ভ্রমণের সুযোগের একটি নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

চুক্তিটি বাংলাদেশ এবং সুইজারল্যান্ডের মধ্যে ফ্লাইট চালানোর জন্য অনুমোদিত ক্যারিয়ারের সংখ্যার উপর কোনো নির্দিষ্ট সীমা না রেখে উভয় এয়ারলাইন্সকে উল্লেখযোগ্য অপারেশনাল স্বাধীনতা দেয়। এটি কোডশেয়ার ফ্লাইটগুলিকেও অনুমতি দেয়। 

প্রতি সপ্তাহে সাতটি সরাসরি যাত্রী ও মালবাহী ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেওয়ার কারণে উভয় দেশ আশা করছে এই চুক্তি থেকে লাভবান হবে।

অর্থনৈতিকভাবে বলতে গেলে, উভয় পক্ষই এই চুক্তি থেকে উপকৃত হবে। বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও পর্যটনের প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং সুইজারল্যান্ড এর এভিয়েশন ট্রাফিক বৃদ্ধি হবে।

বাংলাদেশী রপ্তানি আরো কার্যকরভাবে ইউরোপের বাজারে পৌঁছাতে পারে, অন্যদিকে সুইস এন্টারপ্রাইজগুলো আরো সহজে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করতে পারে। তার সাথে পর্যটকরাও এখন আরও সহজে নতুন জায়গা আবিষ্কার করতে পারবে, যা আন্তঃসাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বাড়াবে।

চুক্তিটি হল একটি অ-বাধ্যতামূলক চুক্তি যা ৪ জুন বার্নে ক্রিশ্চিয়ান হেগনার, ফেডারেল অফিস অফ সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক, দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়৷

সুইস ফেডারেল কাউন্সিল এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে এটিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তবে, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে বাংলাদেশকে অবশ্যই তার সমস্ত অভ্যন্তরীণ চুক্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

সুইজারল্যান্ড বর্তমানে ১৫০ টিরও বেশি দেশের সাথে এই চুক্তিগুলির একটি নেটওয়ার্ক বজায় রেখে একটি আন্তর্জাতিক বিমান শিল্পকে প্রচার করছে।

গত ২০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে এই চুক্তির সূচনা হয়েছিল। বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে ভবিষ্যতের বিমান শিল্পে নিজেকে একটি প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে অবস্থান করেছে।

এই সম্ভাবনা উপলব্ধি করার জন্য বাংলাদেশ তার বিমান পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করছে।

এই চুক্তি বাংলাদেশকে এভিয়েশন শিল্পে একটি উদীয়মান নক্ষত্রে পরিণত করে, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে উৎসাহিত করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের দরজা খুলে দেয়।

চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে এই দুই দেশের সম্পর্কের একটি গতিশীল নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলে আমরা আশা করতে পারি।

আরো ভ্রমণ নিউজ পেতে > Travel News | British Bangla Travel

Written by Nadia Farha Mubin

Content Writer and Travel Enthusiast

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পর্তুগালে মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষে পাইলট নিহত

পর্তুগালে মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষে পাইলট নিহত

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ জরুরী

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ জরুরী