বাংলাদেশ সরকার এফ ই ২৪-এর বাজেটে অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশী ভ্রমণের উপর আরোপিত ভ্রমণ কর বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
সরকার রাষ্ট্রীয় আয় বাড়াতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমানোর জন্য দেশী ও বিদেশী ভ্রমণের উপর আরোপিত কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭.৬ ট্রিলিয়ন টাকার ব্যয় করার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক হেডওয়াইন্ডের মাঝে, কামাল সম্প্রসারণমূলক বাজেটের অংশ হিসাবে কর সংগ্রহের উপর বিশেষ জোর দিয়ে নতুন আয় প্রবাহ তৈরি করার জন্য সরকারের পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছিলেন।
এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে ট্রাভেল ট্যাক্স অ্যাক্ট ২০০৩ সংশোধন করার প্রস্তাব যাতে দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে ভ্রমণের জন্য নতুন করের মান নির্ধারণ করা যায়।
ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ডলারের সংকটের আলোকে কামাল পরিস্থিতি মোকাবেলায় ‘অত্যন্ত দূরদর্শিতা ও পারদর্শিতার সাথে’ আর্থিক নিয়ম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
“আমি জনসাধারণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ কমাতে, কঠোরতার অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং অর্থনীতিতে নতুন আয় প্রবাহ তৈরি করতে ভ্রমণ করের হারে বহু-মডাল বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি,” তিনি বলেছিলেন।
তদনুসারে, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া এবং তাইওয়ানে বিমান ভ্রমণে যাত্রী প্রতি ৬,০০০ টাকা ট্যাক্স দিতে হবে যা আগেই ছিল ২,৫০০ টাকা।
সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণের জন্য করের হার ১,২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করা হয়েছে। অন্য কোনো দেশে ভ্রমণের সময় ৪,০০০ টাকা ট্যাক্স দিতে হবে।
এদিকে, অভ্যন্তরীণ বিমান ভ্রমণের জন্য যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা করের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগে কোনো সরকারি চার্জ ছাড়াই ছিল।
সড়কপথে বিদেশ ভ্রমণের কর দ্বিগুণ করে যাত্রীপ্রতি ১,০০০ টাকা করা হয়েছে। সমুদ্রপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও একই হার প্রযোজ্য হবে।
যাইহোক, ১২ বছর বয়স পর্যন্ত যাত্রীদের বিভিন্ন ভ্রমণের পদ্ধতির জন্য নির্ধারিত করের হারের অর্ধেক দিতে হবে।
কামাল বলেন, এই নীতি একদিকে যেমন আমাদের আরও আয় বাড়াবে অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ কমিয়ে ডলার সাশ্রয় করবে।
আরো ভ্রমণ নিউজ পেতে > Travel News | British Bangla Travel