বাংলাদেশ বিমান পুনরায় ইতালির রোমের সাথে আকাশপথে যোগাযোগ চালু করতে যাচ্ছে। এয়ারলাইন্সটির ঢাকা–রোম রুটে উড়োজাহাজ চলাচল আবার চালুর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের একেবারে শেষপ্রান্তে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিপত্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে ইরানের ওপর থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।
ঢাকা–রোম রুটে বিমানকে ইরানের আকাশপথের ওপর দিয়ে পাড়ি দিতে হবে। এতেও কোনো সংকট নেই। সংকট হচ্ছে—এই আকাশপথ ব্যবহার করতে গেলে ঢাকাকে ইরানের কাছে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। আর এখানেই এসে যাচ্ছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ।
এ বিষয়ে বিমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে—আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ইরানের আকাশপথ ব্যবহার করতে হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ওভারফ্লাইট ফি ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বাবদ চার্জ পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু এ ধরনের যেকোনো পেমেন্ট ইরানের ওপর থাকা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন হবে। ফলে আমেরিকা এই ওভারফ্লাইয়িং পেমেন্ট পরিশোধে ঢাকাকে অনুমোদন দিচ্ছে না। সমস্যা হচ্ছে, ওই পেমেন্ট না দিলে ইরানও তার আকাশপথ বিমানকে ব্যবহার করতে দেবে না।
তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিকল্প আছে বিমানের সামনে। তা হলো ইরানের আকাশপথ এড়িয়ে অন্য তিন দেশের আকাশপথ ব্যবহার করে রোমে যাওয়া। সে ক্ষেত্রে ফ্লাইটের সময় ও ব্যয় উভয়ই বাড়বে। ইরানের আকাশপথ ব্যবহার করলে ৯ ঘণ্টায় রোমে যাওয়া গেলেও বিকল্প পথে সময় লাগবে সাড়ে ১০ ঘণ্টা।
প্রায় ৯ বছর পর ইতালির রোমে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আগামী ২৭ মার্চ থেকে শুরু হবে ফ্লাইট।
সূচি অনুযায়ী আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহে প্রতি সোমবার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ফ্লাইট বিজি৩৫৫ স্থানীয় সময় রাত ২টায় রোমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। রোমে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায়।একই দিন রোম থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা করে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে গ্রীষ্মকালীন সূচি অনুযায়ী প্রতি সোমবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় রাত ৩টায় যাত্রা করে বিমানের ফ্লাইট রোমে পৌঁছাবে সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে। আর রোম থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা করে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১২টায়।
১৯৮১ সালের ২ এপ্রিল বিমান প্রথম রোমে ফ্লাইট শুরু করে। তবে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল থেকে রুটটি বন্ধ হয়ে যায়।