বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইটের নিরাপত্তা বাড়াতে এবং ফ্লাইট খরচ কমাতে জার্মান লুফথানসা সিস্টেম দ্বারা তৈরি “লিডো/ফ্লাইট 4ইডি” নামে বিশ্বমানের সমন্বিত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলুশন চালু করেছে।
সিস্টেমটি ফ্লাইটের সময়, দূরত্ব এবং শিরোনামের সম্পর্কে সময়মত এবং সঠিক পূর্বাভাস প্রদান করে, সেইসাথে প্রত্যয়িত উচ্চ-মানের বৈমানিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে আবহাওয়া এবং আকাশপথের অবস্থার রিয়েল-টাইম আপডেট প্রদান করে।
সলুশনটি ডিসপ্যাচারদের বর্তমান ফ্লাইট-সম্পর্কিত ডেটা বিবেচনায় রেখে যখন এয়ারলাইনসকে তাদের ফ্লাইং সময়, খরচ এবং জ্বালানী খরচ অপ্টিমাইজ করতে সক্ষম করে তখন এটি সর্বোত্তম রুট মূল্যায়নেও সহায়তা করে, যার ফলে ৫ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানী সাশ্রয় হয়।
রাজধানীর বলাকা-এ এয়ারলাইন্সের সদর দফতরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, “আমরা আমাদের ডিজিটাল ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সেরা যন্ত্র এবং অবকাঠামো বেছে নিয়েছি এবং এই নতুন সলুশনটি বিমানকে একটি স্মার্ট এয়ারলাইন হওয়ার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের বিমান চলাচলের ইতিহাসে প্রথম এয়ারলাইন যারা এ ধরনের আধুনিক সলুশন ব্যবহার করেছে যা এমিরেটস, কাতার, ব্রিটিশ এবং সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্ববিখ্যাত এয়ারলাইন্সে ব্যবহার করা হয়েছে।
বিমানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমান নতুন ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলুশন ব্যবহার করে বছরে ২০ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় করতে পারবে শুধুমাত্র সৌদি আরব এবং যুক্তরাজ্যের রুট থেকে।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের লুফথানসা সিস্টেমের সিইও টম ভ্যানডেনডেল, বিমানের ফ্লাইট অপারেশনের ডিরেক্টর সিদ্দিক রহমান এবং চিফ অফ টেকনিক্যাল ক্যাপ্টেন তানভীর খুরশিদ আরও বক্তব্য দিয়েছেন।
আরো ভ্রমণ নিউজ পেতে > Travel News | British Bangla Travel