“বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সামাজিক-দূরত্বের ব্যবস্থাগুলি আরোপের অর্থ হবে, ” সাশ্রয়ী ভ্রমণ” শেষ হওয়া”, জানিয়েছেন আইএটিএর মহাপরিচালক আলেকজান্দ্রি দে জুনিয়াক।
“এটি খুব স্পষ্ট যে বিমানের অভ্যন্তরে সামাজিক-দূরত্ব আরোপ করা হলে এটি ছোট এবং মাঝারি দূরত্বে বিমানের জন্য কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ আসন ফাঁকা থাকবে” এয়ারলাইন্স ইন্ডাস্ট্রি সমিতির এক ব্রিফিংয়ের সময় বলেন তিনি। তিনি মনে করেন, বিমান সংস্থাগুলোকে তাদের টিকিটের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে হবে, নতুবা দেউলিয়া হয়ে পড়তে হবে।
তিনি আরও বলেন, “আপনি পুরনো দামে টিকিট বিক্রি করলে বড় অংকের লোকসান গুনতে হবে, যার ফলে সাশ্রয়ী বিমান সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে আপনাকে টিকিটের দাম কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়ে ন্যূনতম লাভের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে, যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে যদি সামাজিক দূরত্ব কার্যকর হয় তাহলে সাশ্রয়ী ভ্রমণের দিন শেষ।“
আইএটিএ জানায়, কোভিড-১৯ এর কারনে জানুয়ারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল ৭০% কমেছে। আইএটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্রায়ান পিয়ার্স বলেন, লম্বা দূরত্বের ফ্লাইটগুলোর আগে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলো চালু হলেও মন্দার আশঙ্কার মাঝে ভোক্তাদের দুর্বল আস্থার কারনে এ খাতটির উঠে দাঁড়াতে সময় লাগবে। ইতোমধ্যে সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে ভিয়েতনাম। পিয়ার্স চীনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সেখানে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হওয়ার পর শুরুতে কিছুটা চাঙ্গা ভাব দেখা দিলেও বর্তমানে সেখানে ধীরগতি চলছে। আগের তুলনায় মহামারীর কারণে বর্তমানে মাত্র ৪০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ শূন্যের কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও সেখানে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পূর্বের মাত্র ১০ শতাংশ সক্রিয় রয়েছে।
আইএটিএ মনে করছে, ২০২০ সালে বৈশ্বিক যাত্রী পরিবহন গত বছরের তুলনায় ৫৫% কমবে এবং বিমান সংস্থাগুলো ৩১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার লোকসান গুনবে।