in

বিশ্বের সেরা যত বিমানবন্দর

বিশ্বের সেরা যত বিমানবন্দর

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর পাশাপাশি মানুষের সৃষ্ট শিল্পেরও রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা। স্থাপত্যকলায় অভাবনীয় পারদর্শিতার জন্য অনেক স্থাপত্যবিদ-ই প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অভাবনীয় স্থাপত্যকলার কিছু উদহারণ পাওয়া যায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিমানবন্দরগুলোর দিকে তাকালে। আজ আসুন জানি তার কয়েকটির ব্যাপারে।
মূলত “স্কাইট্র্যাক্স” নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিশ্বসেরা বিমানবন্দরে তালিকা নির্ধারণ করে থাকে। ১৯৯৯ সালে ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ড শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষকিছু মানদন্ডের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় কোন বিমানবন্দর জিতবে সেরার খেতাব। বিবেচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, কর্মীদের সেবাপরায়ণতা, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, কেনাকাটার সুবিধা, ব্যাগেজ ডেলিভারি, ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা, ট্রানজিট প্যাসেঞ্জারদের সুযোগ-সুবিধা, বিনোদনের ব্যবস্থা, খরচ ইত্যাদি।

চাঙ্গি এয়ারপোর্ট (সিঙ্গাপুর)

বিশ্বসেরা হওয়া যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এই এয়ারপোর্টটির। দুই দশক ধরে টানা ৯ বার জিতেছে সেরা হওয়ার খেতাব।অবশ্য যথাযথ কারণও রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ২০০টি গন্তব্যে প্লেন যাতায়াত করে এই বিমানবন্দর থেকে। সিঙ্গাপুরের এই বিমানবন্দর তার আকর্ষণীয় স্থাপত্য, দক্ষ পরিচালনা, এবং বিলাসবহুলতার জন্য সবার মনে অন্য এক স্থান নিয়েছে। চাঙ্গি বিমানবন্দরের ছাদে রয়েছে সুইমিংপুল।

চাঙ্গি এয়ারপোর্ট (সিঙ্গাপুর)

এয়ারপোর্ট জুড়ে রয়েছে সানফ্লাওয়ার গার্ডেন। কয়েক’শ প্রজাপতি নিয়ে রয়েছে বাটারফ্লাই গার্ডেন। আর এই এয়ারপোর্টের খাবার নিমেষেই জিভে জল এনে দেয়। এখানে খাওয়ার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রয়েছে স্পা নেওয়ার ব্যবস্থাও ।

ইঞ্চিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (দক্ষিণ কোরিয়া)

২০০১ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করে এই এয়ারপোর্টটি। দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর ইঞ্চিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। ২০১৮ সালে এটি বিশ্বের সেরা এয়ারপোর্ট স্টাফ খেতাব লাভ করে। এটি ‘সিউল-ইঞ্চিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’ হিসেবেও পরিচিত। এটির অবস্থান সিউল থেকে ৩২ মাইল দূরে। বিশ্বের কার্গো বিমানবন্দরের মধ্যে এটির অবস্থান ষষ্ঠ। এটি ২.৭ মিলিয়ন টন কার্গো বহনে সক্ষম। বিমানবন্দরটিতে টার্মিনাল সংখ্যা দু’টি।

টোকিও হানেদা বিমানবন্দর (জাপান)

শিয়ার দ্বিতীয় এবং ২০০৯ সালে বিশ্বের চতুর্থ ব্যস্ততম বিমানবন্দর জাপানের রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দর৷ মোট ৩টি টার্মিনাল বিশিষ্ট বিমানবন্দরটি পরিচালনা করে টোকিও অ্যাভিয়েশন ব্যুরো, ভূমি অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং জাপান এয়ারপোর্ট টার্মিনাল।

টোকিও হানেদা বিমানবন্দর

বছরে প্রায় ৬০ মিলিয়ন যাত্রী টোকিও হানেডা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ব্যবহার করেন। করোনা পরবর্তী সময়ে ফের জাপানে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে৷ ফের আগের ব্যস্ততার ছবিটাও ফিরে আসবে হানেদা বিমানবন্দরে৷

হংকং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (হংকং)

১৮০-রও বেশি শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারী হংকং- হংকং ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর দিনে ১০০-র বেশি এয়ারলাইন্স অপারেট করে৷শ্বের সেরা ট্রানজিট এয়ারপোর্ট হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে ২টি টার্মিনাল এবং ৩টি রানওয়ে বিশিষ্ট্য এয়ারপোর্টটি। মোট ১২৫৫ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বিশাল এয়ারপোর্ট পরিচালনা করেন ‘হংকং এয়ার অথরিটি।

মিউনিখ এয়ারপোর্ট (জার্মানি)

২০১৮ সালে ইউরোপের সেরা বিমানবন্দর হিসেবে নির্বাচিত হয় মিউনিখ বিমানবন্দর- জার্মানির দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর এটি৷ বিশ্বের সেরা পাঁচটি বিমানবন্দরের তালিকাতেও নিজের অবস্থান করে নিয়েছে বিমানবন্দরটি৷

মিউনিখ এয়ারপোর্ট (জার্মানি)

অনেকটা সিটি সেন্টারের মতো বিমানবন্দটিতে ১৫০-র বেশি রিটেল স্টোর এবং ৫০টি জায়গা রয়েছে যেখানে খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় পাওয়া যায়। এখানে ৩টি টার্মিনাল এবং ২টি রানওয়ে বিশিষ্ট বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা প্রতিবছর প্রায় ৩৯.৭ মিলিয়ন।

হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (কাতার)

হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের অবস্থান কাতারের দোহা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। ২০০৬ সালে নির্মাণকাজ শুরু হলেও এয়ারপোর্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে। নয়নাভিরাম এয়ারপোর্টটিতে বছরে প্রায় ৩০ মিলিয়ন যাত্রীর সমাগম হয় আর স্থাপত্যের দিক থেকেও এটিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিমানবন্দর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বিলাসবহুল বিমানবন্দরটি  ২০১৮ সালে এটি মধ্যপ্রাচ্যের সেরা বিমানবন্দর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এটিতে ২টি টার্মিনাল এবং ২টি রানওয়ে রয়েছে।

টোকিও নারিতা

যাত্রীর সংখ্যার বিচারে জাপানের টোকিও শহরের হানেদার পাশাপাশি নারিতা বিমানবন্দরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ জাপান এয়ারলাইন্স এবং অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের এটি হাব ৷

লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট (যুক্তরাজ্য)

লন্ডন শহরের কেন্দ্র থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এয়ারপোর্টটি “লন্ডন হিথ্রো নামেও পরিচিত। এটি যুক্তরাজ্যের প্রধান এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর এটি। যাত্রী সংখ্যার দিক থেকে এটি ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট

লন্ডন শহরের কেন্দ্র থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে এটির অবস্থান। প্রতি বছর ভ্রমণকৃত যাত্রী সংখ্যা প্রায় ৮০.১ মিলিয়ন। বিমানবন্দরটিতে ২টি রানওয়ে এবং ৫টি টার্মিনাল রয়েছে।

জুরিখ এয়ারপোর্ট (সুইজারল্যান্ড)

সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে জুরিখ এয়ারপোর্ট। জুরিখ শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। এতে ৩টি টার্মিনাল এবং ৩টি রানওয়ে রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৬৭টি দেশের ২০৩টি গন্তব্যে এখান থেকে বিমান ছেড়ে যায়।

কানসাই বিমানবন্দর

এই বিমানবন্দরটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৪ সালে৷ জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্ট এটি৷

Written by Tamanna Reza

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জেনে নিন ভ্রমণের কিছু দরকারি টিপস

জেনে নিন ভ্রমণের কিছু দরকারি টিপস

How to Get the Best Travel Photos?

How to Get the Best Travel Photos?