ই-পাসপোর্ট ভ্রমণকারীদের জন্য যাতায়াত করা খুব সহজ করতে পারে। এর কারণে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য যাত্রীদের আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না এবং দ্রুত তারা ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। দেশে ই-পাসপোর্ট কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর চার বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি ই-পাসপোর্টে তিনটি সংশোধন এনেছে এবং তা ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর শুরু হয়েছে।
এসব তথ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অফিস আদেশ থেকে গত শনিবার, ৯ মার্চ, জানা যায়। সংশোধন করা বিষয়গুলোর মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর নাম, বিস্তারিত ঠিকানা ও কিউআর কোড রয়েছে।
ই-পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যের অংশটিতে পাসপোর্টধারীর নামের সঙ্গে উল্লেখ থাকে বাবা, মা, স্বামী বা স্ত্রীর নাম আর স্থায়ী ঠিকানা, এখানে সংশোধন আনা হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্টে ‘স্পাউসেস নেম’ ঘরটির বদলে ‘লিগ্যাল গার্ডিয়ান’ ঘর দেওয়া হয়। যা শুধু দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তাই পাসপোর্ট আবেদনের সময় ‘লিগ্যাল গার্ডিয়ান নেম’ অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে প্রমাণপত্র হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে আইনত অভিভাবকের অনাপত্তি সনদ ও তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি জমা দিতে হবে।
ই-পাসপোর্টের প্রথম পাতায় জরুরি তথ্যের নিচে কিউআর কোড যুক্ত করা হয়েছিল। কিউআর কোডটি স্ক্যান করলে পাসপোর্টধারীর নাম ও যোগাযোগের নম্বর সহজেই পাওয়া যেত যা এখন থেকে আর থাকছে না।
ই-পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্য ও জরুরি যোগাযোগসংক্রান্ত অংশ দুটিতে ‘ঠিকানার’ ঘর আছে। এত দিন এই ঠিকানার জন্য দুই লাইনের ঘর দেওয়া হতো যেখানে ৪৮ শব্দের মধ্যে ঠিকানা লিখতে হতো। অনেকের পুরো ঠিকানার সেখানে জায়গা হতো না। তাই এখন থেকে ঠিকানার জন্য তিন লাইন বা ৯৬ শব্দের লিমিট দেওয়া হয়েছে।
আরো ভ্রমণ নিউজ পেতে > Travel News | British Bangla Travel