১২টি বিদেশী এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের সঙ্গে আকাশ পথে সংযুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কিছু এয়ারলাইনস বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে, আবার কিছু শুধু মৌখিকভাবে জানিয়ে রেখেছে।
তবে সূত্রের মাদ্ধমে জানা গেছে, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) স্থান সংকটের জন্য নতুন কোনো এয়ারলাইন্সকে আপাতত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেবে না।
বেবিচক সূত্রে আরও জানা গেছে, বিভিন্ন দেশের অন্তত ১২টি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেবিচকে যোগাযোগ করেছে। অতি সম্প্রতি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা এয়ারলাইন্সগুলো হচ্ছে-শ্রীলঙ্কার ফিটস এয়ার, দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়ান এয়ার, আবুধাবিভিত্তিক উইজ এয়ার, ইন্দোনেশিয়ার গারুদা ইন্দোনেশিয়া, ইরাকের ইরাকি এয়ারওয়েজ, জর্দানের রয়াল জর্দানিয়ান, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, এয়ার ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।
২০২২ সালে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়ে ইতোমধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে আফ্রিকাভিত্তিক উড়োজাহাজ সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। এয়ারলাইন্সটি বিভিন্ন আফ্রিকান দেশগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশি যাত্রীদের ইথিওপিয়ায় ট্রানজিট দিয়ে অল্প সময়ে ঢাকা থেকে সেই দেশে পৌঁছে দিতে চায়। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইন্সগুলো এই রুটের যাত্রী বহন করছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক জানিয়েছিল, আবেদন করা এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে উইজ এয়ারকে আপাতত ফ্লাইট পরিচালনার ‘অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না’। উইজ এয়ার চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করার আশা প্রকাশ করেছিল। বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়লে তাদের ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
সর্বশেষে ঢাকা থেকে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো রুটে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে ফিটস এয়ার। তবে অ্যাপ্রোন এয়ারক্রাফট রাখার স্থান সংকট থাকায় আপাতত তাদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
এছাড়াও বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য মৌখিকভাবে আশা প্রকাশ করেছে আরও ৪টি এয়ারলাইন্স। এগুলো হচ্ছে- পাকিস্তানের পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ), উজবেকিস্তানের উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজ, সুইজারল্যান্ডের সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও সৌদি আরবের রিয়াদ এয়ার।
এদের মধ্যে পিআইএ ২০২২ সালে বেবিচককে ফ্লাইট পরিচালনার কথা জানায়। বেবিচক তাদের আবেদনের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয় বলে জানা গেছে। বাকি ৩টি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতদের দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর কাছে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহের কথা জানায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে ২৮টি বিদেশি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বেবিচক জানিয়েছে, থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হলে একসঙ্গে মোট ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন হয়ে গেলে একে একে অনুমতি পাবে সবাই।
আরো ভ্রমণ নিউজ পেতে > Travel News | British Bangla Travel