রমজানের শুরু থেকেই পর্যটকশূন্য হয় পড়েছে কুয়াকাটা, বাংলাদেশের বিখ্যাত সমুদ্রসৈকত, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি। এই সৈকতে বছরের সর্বাধিক সময়ই কম বেশি পর্যটক থাকলেও গত কিছুদিন ধরে পর্যটকদের নেই কোন অস্তিত্ব।
আজ সুনসান নীরবতা ছড়িয়ে পড়েছে সেই সৈকতে, যেখানে মানুষের পদচারণায় পা ফেলার উপায় থাকত না আগে, নেই কোনো মানুষের কোলাহল। রেস্তোরাঁগুলোও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। আবাসিক হোটেল-মোটেলের রুমে নেই কোন মানুষ। এতে এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বড় লোকসানের মুখে।
সৈকতের, না বিচে আর না আশে পাশের দোকানপাটে, কোন পর্যটন পয়েন্টগুলোতেই একটি পর্যটকেরও দেখা মিলছে না বলে ব্যবসায়ীরাও সৈকতের পাশে বিছানো ছাতাওয়ালা বেঞ্চগুলি গুছিয়ে রেখেছেন। ঝিনুক, আচার ও অন্যান্য জিনিসের ব্যবসায়ীরাও তাদের স্টলগুলো বন্ধ করে রেখেছেন। কিছু দোকানদাররা সকালে দোকান খুললেও সন্ধ্যা নামারও অপেক্ষা করে না সেটা বন্ধ করার জন্য। তাদের একটা ক্রেতা পাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না সারাটা দিনে। কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার, ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী এমনকি ফেরিওয়ালার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও এখন বেকার সময় কাটাতে বাধ্য।
শুধু তাই নয়, পর্যটনকেন্দ্রে যত গুরুত্বপূর্ণ হোটেল এবং মোটেল ব্যবসায়ী আছেন, তারাও একটি রুম বুকিং দেওয়ার মত পর্যটকও পাচ্ছেন না। কিন্তু তারা এই আশা ধরে রেখেছেন যে রমজানের প্রথম দিকে পর্যটক না পেলেও শেষের দিকে কিছু পর্যটক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যারা পর্যটন বাণিজ্যের সাথে জড়িত তারা জানান যে এখন পর্যটক এলে অনেক কম খরচে কুয়াকাটা ও তার সকল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। তবে পরিবার ও পরিজনদের নিয়ে এখানে আসার এখনই সবচেয়ে উত্তম সময়। আরও জানানো হয়েছে যে যারা ভ্রমণ করতে ভালবাসে তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধাতে ছাড় পাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
আগেও রমজান মাসের প্রথম দিকে পর্যটক তুলনামূলক অনেকটাই কম থাকত এবং বর্তমানে তার ব্যতিক্রম ঘটেনি বলে জানান ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা এর প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার। তবে, এবার ঈদে দীর্ঘদিন ছুটি থাকার কারনে অগ্রিম বুকিং পাওয়া শুরু হয়েছে।
আশা করা যায় যে, এই ঈদের ছুটিতে অনেক ব্যস্ত সময় কাটবে সকল পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। কেননা আপাতত যেহেতু তাদের বেকার সময় কাটছে, তাই তারা পরবর্তীর জন্য ভাল ব্যবস্থা নিতে পারবেন।