বরিশাল বিমান বন্দরের রানওয়েতে গরু ও ছাগল চরানোসহ সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে সর্ব সাধারনের চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফলে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র এই বিমান বন্দরটি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিমানবন্দরের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অংশের রানওয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে রানওয়ের উপর দিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের জন্য চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করায় সেখান থেকে অবাধে প্রবেশ করছে গরু-ছাগল। রানওয়ের উপর দিয়েও নির্বিঘ্নে চলাচল করছে এসব প্রানী।
সীমানা প্রাচীরের মধ্যে রানওয়ের পাশের বিশাল চারন ভূমিতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরু-ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা এ বিমান বন্দরের জন্য চরম ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিমান বন্দরের টার্মিনাল ভবন সম্প্রসারণসহ নির্মিত ভিআইপি টার্মিনাল উন্মুক্ত করাসহ আরো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ স্থবির হয়ে আছে। ফলে এ বিমান বন্দরে যাত্রী সেবার মানও নিশ্চিত হচ্ছেনা।
প্রতিদিন সরকারী-বেসরকারী পাঁচটি ফ্লাইট এ বিমান বন্দরে পরিচালিত হলেও অনেক সময়ই একইসাথে একাধিক ফ্লাইট অবতরনের ফলে যাত্রীদের বসার মতো কোন স্থান থাকছে না। ফলে বিশেষ করে নারী ও শিশু যাত্রীরাদের বিড়ম্বনায় পরতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, প্রায় দেড়শ’ একর জমি নিয়ে বরিশাল বিমান বন্দরের টার্মিনাল ভবন, ফায়ার স্টেশন ও রানওয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে তিন শিফটে মাত্র ৩০ জন আনসার ছাড়া কয়েকজন সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন।
এতো স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে বিশাল এলাকার নিরাপত্তা বিধান করা যাচ্ছেনা।