গত বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রী ডঃ আব্দুলফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত আশ্বস্ত করেছেন যে, তার সরকার ঢাকার অনুরোধ অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আরও ১০টি হজ ফ্লাইটের স্লট বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।
বৃহস্পতিবারে ঢাকায় প্রাপ্ত এক তথ্য অনুযায়ী, তার আগের দিন বুধবার মক্কায় সৌদি উপমন্ত্রী এবং সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর মাঝে সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকালে সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার প্রশংসা করে বলেন, তার সরকার হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
কিছু হজ এজেন্সি বাংলাদেশী হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে বাসস্থান ও ভিসার ব্যবস্থা করতে না পারায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিচালনা সংস্থা বেশ কয়েকটি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। তার প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিমানকে আরো ১০টি হজ ফ্লাইটের স্লট বাড়ানোর অনুমতি চেয়ে সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল
যোগাযোগ করা হলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম বিএসএসকে বলেন, তারা সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আরও ১০টি হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, “সমস্ত হজযাত্রীদের সময়মতো নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কিছু ব্যাকআপ পরিকল্পনাও আছে।”
কিছু হজ এজেন্সির মধ্যে আন্তরিকতার অভাব থাকায় বিমানের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিমান প্রধান। তার পাশাপাশি, বিমান সমস্ত হজযাত্রীদের যথাসময়ে পরিবহনের জন্য চাপের সম্মুখীন হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই দায়ী সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিষয়টি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি।’
গত দুই সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬ হাজারের বেশি হজযাত্রীকে পেছনে ফেলেছে এবং ৬ টি হজ ফ্লাইট বাতিল করেছে।
রবিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৯০টি হজ এজেন্সিকে এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজ পালন করতে যাচ্ছেন এ বছর। এর মধ্যে প্রায় ৬২ হাজার যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকিরা সৌদি এয়ারলাইন্স বা ফ্লাইনাসের মাদ্ধমে যাবেন।