in , , ,

চায়না ইস্টার্ন বিমান বিধ্বস্ত ইচ্ছাকৃত হওয়ার সম্ভাবনা

চায়না ইস্টার্ন বিমান বিধ্বস্ত ইচ্ছাকৃত হওয়ার সম্ভাবনা

ইউএস মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মার্চ মাসে বিধ্বস্ত হওয়া চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের তদন্ত ইঙ্গিত করে যে সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে নোস-ডাইভ করা হয়েছিল।

মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক মূল্যায়নের পর তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত জেটটিতে কোনো যান্ত্রিক বা প্রযুক্তিগত ত্রুটি খুঁজে পাননি।

বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি যখন এটি বিধ্বস্ত হয়, চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কুনমিং এবং গুয়াংজু এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলো।

দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ১৩২ জন যাত্রী ও ক্রু সবাই মারা যান।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, “বিমানটি ককপিটের একজন যা করতে বলেছিল তা করেছিল”; মার্কিন কর্মকর্তাদের বিধ্বস্তের কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক মূল্যায়নের সাথে পরিচিত একজন ব্যক্তির মাধ্যমে এটি জানা যায়।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানের “ব্ল্যাক বক্স” ফ্লাইট রেকর্ডারগুলির একটি যা দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করে জানা গিয়েছে যে বিমানের নিয়ন্ত্রণগুলিতে যা ইনপুটগুলি দেওয়া হয়েছে তা বিমানটিকে প্রায় সোজা নিচের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

রয়টার্সের মতে, কোন যান্ত্রিক ত্রুটি খুঁজে না পাওয়ায় ফ্লাইট ডেক-এ কোন ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপের কারণে এটি হয়েছিল কিনা তা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা।

চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস, এর আগে বলেছিল যে, যে তিনজন পাইলট বিমান পরিচালনা করছিলেন তারা যোগ্য এবং ভালো স্বাস্থ্যের ছিলেন। তারা পৃথকভাবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছে যে, পাইলটদের কেউ আর্থিক সমস্যায় ছিলেন এমন কোনও ইঙ্গিত ছিল না।

চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস এবং চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএএসি), যারা দুর্ঘটনার তদন্তের কাজ করছেন, তাৎক্ষণিক মন্তব্যের জন্য বিবিসির অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

গত মাসে, সিএএসি বলেছিল যে বিমানটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিধ্বস্ত হতে পারে এই রিপোর্টটি “জনগণকে গুরুতরভাবে বিভ্রান্ত করেছে” এবং “দুর্ঘটনার তদন্তের কাজে বাধা দিচ্ছে”।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম, গ্লোবাল টাইমস বুধবার জানিয়েছে, তদন্তকারীরা এখনও ফ্লাইট ডেটা এবং দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণ করছে। তারা আরও বলেছে, সিএএসি এখন থেকে একটি “বৈজ্ঞানিক, কঠোর এবং সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে দুর্ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবে”।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশের কারণে ওয়াশিংটনে চীনা এমব্যাসি, ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) এবং বিমান নির্মাতা বোয়িং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টের বিষয়ে মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছে।

বুধবার বিবিসিকে বোয়িংয়ের একজন বলেছেন, “বিধ্বস্ত বিমানের তদন্তের বিষয়টি নিয়মের অধীনে। শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাই চলমান বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের বিষয়ে মন্তব্য করতে পারে।” কোম্পানিটি আগে বলেছিল যে তারা চীনে তদন্তে সহায়তা করছে এবং এনটিএসবি-এর সাথে যোগাযোগ করছে।

চীনা এয়ারলাইন্স গুলোর ভ্রমন রেকর্ড সাধারণত ভালো ও নিরাপদ হয়ে  থাকে – সর্বশেষ বড় দুর্ঘটনাটি ১২ বছর আগে ঘটেছিল।

Written by Nadia Farha Mubin

Content Writer and Travel Enthusiast

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিমান ও সৌদিয়ার সাথে বাংলাদেশের হজ্জ্বযাত্রী নেবে ফ্লাইনাসও

বিমান ও সৌদিয়ার সাথে বাংলাদেশের হজ্জ্বযাত্রী নেবে ফ্লাইনাসও

Planning a Honeymoon? Consider these Mountainous Destinations

Planning a Honeymoon? Consider these Mountainous Destinations