সোনা চোরাচালানে ওসমানী বিমানবন্দর মূল কেন্দ্রে পরিণত হয়ে উঠছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে সিলেটে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ার সাথে দিন দিন আরও বাড়ছে এমন সোনার চোরাচালান।
৮ বছরে ১১৩ কেজি সোনা আটক করা হলেও থামছে না চোরাচালান একইভাবে গেল জুন থেকে চলতি জুন পর্যন্ত সাতটি বড় চালানের সাথে ধরা পড়েছে প্রায় ২০ কেজি সোনা। এমন বাস্তবতায় সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে আলোচনায় থাকছে ওসমানী বিমানবন্দর।
আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দর চোরাকারবারের ঝুঁকিতে থাকলেও প্রতিরোধের চেষ্টা করছে কাস্টমস বিভাগ।
জুসার, ব্লেন্ডার মেশিন, নেব্যুলাইজারসহ চিকিৎসাসেবার বিভিন্ন যন্ত্র, এবং আরও নানা জিনিসপত্রের ভেতরে করে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে চোরাকারবারিরা দেশে আনছে সোনা।
সোনা পাচারের ভয়াবহতা এতো যে, গত ৮ বছরে ওসমানী বিমানবন্দরে ১০০ কেজির বেশি সোনা আটক করেছে কাস্টমস বিভাগ। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭৭ কোটি টাকার বেশি।
সোনা চোরাচালানে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস এর উপ-কমিশনার মো. আল-আমিন বলেন, কাস্টমস তাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কিংবা স্ক্যানিং দক্ষতা বা ব্যক্তিগত সক্ষমতা দিয়ে চোরাচালানকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস উপ-কমিশনার মো. আল-আমিন আরও বলেন, অবৈধভাবে আনা পণ্যসহ চোরাচালানীদের আটকের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়েরের পর তার দায়িত্ব চলে যায় পুলিশের হাতে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, এখন পর্যন্ত সোনা চোরাচালানের গডফাদারদের কেউ ধরা পড়েনি।
মামলা তদন্তকালে আসামি স্বীকারোক্তি দিয়ে বলে সে নিজেই চালানটি নিয়ে এসেছে।
ধারনা করা হয়, স্বর্ণ চোরাচালানের নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক চক্র। এসবের নেপথ্যে কারা রয়েছে তা বের করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সহযোগিতা চাওয়ার পরামর্শ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের।