ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য তার সীমানা আবার খুলে দিয়েছে বালি। তবে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম প্রযোজ্য থাকছে।
একজন সিনিয়র মন্ত্রীর মাধ্যমে জানা গিয়েছে, এখন ইন্দোনেশিয়ার সরকার কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজনীয়তা বাদ দেওয়ার এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য ভিসা-অন-অ্যারাইভাল শুরু করার পরিকল্পনা করছে; তবে কয়েকটি শর্তে।
দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও এই বাধ্যতামূলক ৩ দিনের কোয়ারেন্টাইন অপসারণ এবং ভিসা-অন-অ্যারাইভাল (VoA) প্রত্যাবর্তনের প্রচারনার পক্ষে। আপাতত, প্রলম্বিত এবং ব্যয়বহুল কোয়ারেন্টাইনের কারণে ইউরোপের বেশ কিছু পর্যটক বালিতে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকছেন।
সামুদ্রিক ও বিনিয়োগ বিষয়ক সমন্বয়কারী মন্ত্রী লুহুত বিনসার পাঞ্জাইতান একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোন ইতিবাচক ফলাফল লক্ষ্য করা গেলে ১৪ মার্চের আগেই পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রমটি প্রচালিত হবে।
আন্তর্জাতিক পর্যটকদের বালিতে প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজনঃ
১) বিদেশী ভ্রমণকারীদের কমপক্ষে চার দিনের জন্য হোটেল বুকিং পেমেন্টের প্রমাণ দেখাতে হবে।
২) বালিতে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক পর্যটকদের অবশ্যই টিকার সব ডোজ দেওয়া থাকতে হবে বা বুস্টার টিকা গ্রহনকারী হতে হবে।
৩) প্রবেশের সময় RT PCR পরীক্ষা করা হবে এবং যাত্রীদের হোটেলে তাদের নেগেটিভ ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
৪) যাত্রীদের আগমনের তৃতীয় দিনে, তাদের হোটেলে আরেকটি RT PCR পরীক্ষা করতে হবে।
একই মন্ত্রী আরও বলেন, পরীক্ষা নেতিবাচক হলে ভ্রমণকারীদের স্বাস্থ্যনীতির অধীনে অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তাঁর মতে, এই প্রকল্পের পরিচালনার জন্য বালিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ এখানে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার হার ইন্দোনেশিয়ার অন্য যেকোনো প্রদেশের তুলনায় বেশি।
পরীক্ষামূলক কার্যক্রমটি সফল হলে ইন্দোনেশিয়ার সরকার ১ এপ্রিল বা তার আগেই দেশ জুড়ে কোয়ারেন্টাইন-মুক্ত ভ্রমণ নীতি জারি করবে।