প্রায় দুই বছর ধরে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ঢাকা থেকে কুয়েতে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সাথে কুয়েতে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় উপায় না পেয়ে চাকরি ব্যবসা বাঁচাতে বিকল্প পথ (একাধিক দেশ) ব্যবহার করে অনেক প্রবাসী দেশ ছাড়ছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সাথে গতকাল সোমবার রাতে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কুয়েত সরকার আবারো ভিজিট ভিসা চালু করার পরিকল্পনা করতে যাচ্ছে। দেশটির মন্ত্রিপরিষদে এ সংক্রান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই আগামী অক্টোবর মাসে ভিজিট ভিসা (পারিবারিক, বাণিজ্যিক এবং পর্যটক) শর্তসাপেক্ষে দেয়া হবে।
যদিও ঢাকা থেকে কুয়েত রুটে প্রতিদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট চলাচল করত করোনাভাইরাসের আগে।
আরব টাইমস এমন তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলেছে, কুয়েতে বিভিন্ন দেশের সাথে সরাসরি ফ্লাইট, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার কমতে থাকায় এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মক্ষমতা বাড়ানো কারণে ভিজিট ভিসা ইস্যু করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিবারের সাথে আবার মিলিত হওয়ার জন্য, শিশু এবং স্বামী/স্ত্রীদের ভিজিট ভিসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এগুলো খুবই সীমিত সংখ্যায়।তাও দেশটির মন্ত্রিপরিষদের কমিটি অনুমোদন সাপেক্ষে।
গতকাল কুয়েত থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, যেসব প্রবাসী বাংলাদেশী কুয়েত সরকার অনুমোদিত ফাইজার, অক্সফোর্ড, মডার্না, জনসন টিকা নেয়ার সনদ ও তথ্য দিয়ে কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তারাই কর্মস্থলে ফেরার জন্য অনুমতি পাচ্ছে।
এর মধ্যে যাদের আকামার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে কিংবা কুয়েতে নিজের ব্যবসা রয়েছে তারা এখন বিকল্প পথ সৌদি আরব, তুর্কি, বাহরাইন হয়ে কুয়েতের কর্মস্থলে ফিরছেন।