বাংলাদেশ থেকে এ বছর হতে যারা হজ্জ্বের জন্য ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক, তারা বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইনস ছাড়াও পরিবহন করার সুযোগ পাবেন সৌদির কম খরচের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস ‘ফ্লাইনাস’ এর মাধ্যমে।
সুতরাং, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনস ছাড়াও সকল বাংলাদেশী হজ্জ্বযাত্রীরা ফ্লাইনাস এর মাধ্যমেও হজ্জ্বের যাত্রায় যেতে পারবেন।
এর জন্য যাত্রীরা যথেষ্ট আরামের সাথে ভ্রমণ করতে পারবেন। এবং আশা করা হচ্ছে যে ভবিষ্যতে হজ্জ্বের সময় বিমানের টিকিটের ভাড়াও কমে আসতে পারে।
গত শুক্রবার (৬ মে), বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) একটি অফিসিয়াল ইমেইলের দ্বারা ফ্লাইনাসের কর্তৃপক্ষকে এই অনুমোদন দেয়।
![](https://blog.britishbanglatravel.com/wp-content/uploads/sites/3/2022/02/Banner_5.gif)
হজ্জ্ব এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এই সিদ্ধান্তে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্র দ্বারা জানা গিয়েছে যে, চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে ৯ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ্জ্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বছর ৫৭ হাজার ৮৫৬ জনের কাছাকাছি মানুষ বাংলাদেশ থেকে হজ্জ্বে যেতে পারবে।
এর আগে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ৩১ মে হজ্জ্ব ফ্লাইট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে জানিয়ে ছিলেন।
হজ্জ্বের জন্য বর্তমানে বিমান ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাব এর সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, ২০১২ এর আগে হজ্জ্বযাত্রীরা বিমান ও সৌদিয়া এয়ারলাইনস ছাড়াও অন্যান্য এয়ারলাইনসের থার্ড ক্যারিয়ার (অন্য দেশে থেমে সৌদি যায়, এমন এয়ারলাইনস) হিসেবে পরিবহন করত। এই কারণে হজ্জ্বের জন্য যাত্রীদের পরিবহনে সমস্যা হতো না।
কিন্তু ২০১২ সালের পর থেকে সরকার থার্ড ক্যারিয়ার সার্ভিসটি বন্ধ করে দেয়।
তার পর থেকে প্রতিবছর হজ্জ্ব ফ্লাইটের শেষ সময়ের দিকে এসে হজ্জ্বযাত্রীদের পরিবহনে সংকট তৈরি হয়, যা ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে।
যার কারনে হজ্জ্বের জন্য যাত্রীদের অনেক কষ্ট পোহাতে করতে হয়।